লাইফস্টাইল

আজ সিঙ্গেলদের দিন

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পর দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে বা একক সচেতনতা দিবস। মূলত, সিঙ্গেলস ডে আত্ম-প্রেম, নিজেকে জানার ও বোঝার এবং নিজের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে উৎসাহিত করে। সঙ্গীবিহীন জীবনের প্রতি করুণা নয়, বরং বিশ্বকে জানিয়ে দিন আপনি সিঙ্গেল। আর এটা আপনার নিজের সিদ্ধান্ত, যা নিয়ে আপনি খুশি। দিনটিকে উদযাপন করুন নিজের খুশি মতো। এমনই বার্তা দেয় সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে।

ভালোবাসা দিবসে যারা অবিবাহিত অথবা সঙ্গীহীন, সেই সব মানুষদের জন্যই এই দিনটির সূচনা। আবার যারা শেষ বয়সে একা থাকেন, তারাও এই দিনটি পালন করতে পারেন।

ভালবাসা দিবসের পরদিন দিনটি বেছে নেওয়ার কারণ ছিলো, যাতে সিঙ্গেলরা নিজেদের দুঃখিত না মনে করে বরং এই দিনটিকে উদযাপন করতে পারে।

সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে’র ইতিহাস

২০০১ সালের দিকে মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র ডাস্টিন বার্নস তার বন্ধুদের দুঃখের মধ্যে ডুবে না গিয়ে তাদের একাকিত্ব উপভোগ করার জন্য একটি দিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেখান থেকেই এর উৎপত্তি। তবে অন্যান্য আন্দোলনের মতোই একক সচেতনতা দিবসটি বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি থেকেই তৈরি হয়েছিল।

একক সচেতনতা দিবস ২০০৫ সালে বৈধভাবে কপিরাইটযুক্ত হয় এবং দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তবে শুধু অবিবাহিত কিংবা সঙ্গীবিহীন মানুষই নয় এখন সমস্ত প্রাপ্তবয়স্করাই তাদের জীবনের প্রতি গুরুত্ব বুঝতে এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিবসটি উদ্‌যাপন করছে। তাই আপনিও আর ঘরে বসে না থাকে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে আসুন। কিংবা পরিবারের সাথে জমিয়ে একটা ডিনার করুন। নিজের সাথে সময় কাটাতে চাইলে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন পাহাড় কিংবা সমুদ্রে। আর এসব কোনোটাই ভালো না লাগলে প্রিয় কোনো বই আর ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ নিয়ে এলিয়ে পড়ুন বিছানায়। সময় দিন নিজেকে।

সূত্র: ডেইস অব দ্য ইয়ার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button