আইন-অপরাধরাজনীতি

নাইকো মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাবেন আশাবাদ আইনজীবীদের

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের রায়ের জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে ঢাকার একটি আদালত।

রায়ে বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবীরা।

আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বাসসকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ সকল সাক্ষ্য প্রমাণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি বলে দাবী করেন তারা। এতে বুঝা যায় মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী বেগম খালেদা জিয়া মামলার দায় হতে খালাস পাবেন।’

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এ মামলা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য সাতজন হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলার বিচার চলাকালীন ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button