
ঢাকা অফিস : রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণাসহ ৭দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আমরণ অনশন পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনের পাশাপাশি কলেজের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নানান ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণাসহ ৭দফা দাবিতে বাঁশ দিয়ে সড়ক অবরোধ করায় মহাখালী – গুলশান সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কে চলাচলরত জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে মহাখালী থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
সড়কে চলাচলরত জনগন আক্ষেপ করে বলেন, কোন কিছু হলেই শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করা শুরু করে দিয়েছে। তাদের কারনে প্রতিদিন ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। এরা জনগনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে না। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
টানা ৫ম দিনের অনশনে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবিগুলো হলো :
১. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যারয়ে রুপান্তর এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. পিএইচডি ডিগ্রিধারী যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৪. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে অন্যথায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৫. আইন ও জার্নালিজম বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৬. গবেষণার জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ দিতে হবে।
৭. শিক্ষার গুণগত মান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধসহ এই আন্দোলন চলছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন এবং ৭ দফা দাবি জানান। তারা আরও জানিয়েছেন, যেকোন মুল্যে তাদের দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। যতক্ষন তাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।