
রংপুরে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামী নির্বাচন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ। এ নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো হারানো নির্বাচনি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। আমরা এ সুযোগ হারাতে চাই না।’নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।আমরা সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তখন নির্বাচন কমিশন সহায়তা করবে।ভোট গ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার ব্যাপারে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছেনা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনে তফশীল ঘোষণার আগে যারা নিবন্ধিত থাকবে, তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আমাদের দেখতে হবে সার্বিক রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক দল গুলোর নির্বাচনে অংশ গ্রহণে বিচারিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ঐক্যমতের বিষয় আছে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের ডিসেম্বরে কিংবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলেছেন। এই সময় কিপরিমান সংস্কার হবে তার উপর নির্ভরশীল। সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। সংস্কার কমিশন গুলো সুপারিশ মালাও জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যমত কমিশন গঠন করবেন। এটির মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচন সংক্রান্ত মতামত গুলো নেয়া হবে। এর উপর ভিত্তি করে আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন-পরিবর্তন করা হবে। এরপর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে প্রাক প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে সকল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সহ সকল প্রতিষ্ঠান উপলদ্ধি করেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভাবমূর্তি পূনঃরুদ্ধার করতে হবে। এটি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করণ শুরু করেছি। এটির মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ, ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত যা কিছু আছে সবকিছু স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে।
এর আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার আবুসাইম সহ নির্বাচন কর্মকর্তারা। এরপর তিনি নগরীর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে ভোটার হালনাগাদ করণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।