
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরের সদর উপজেলার ৮নং দেয়াড়া মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, অর্থ লুটপাট এবং বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইউনিয়নজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃত্বের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার ২৬ মে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আলী হোসেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
অবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সাগর এবং বিএনপি নেতা আমিন উদ্দিন (সাবেক মেম্বর) যোগসাজশে ৫৩নং এফএমবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইট, বালি, রড, জানালাসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক বিক্রি করে দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এই মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বিষয়টি ইতোমধ্যে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।
অবেদনপত্রে আরও দাবি করেছেন যে, অভিযুক্তরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এলাকায় বালি ও মাটির অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। এমনকি তারা যুব সংঘের সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ।
সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর সংগঠনের সভাপতি পদে পরিবর্তন এলেও, যুব বিষয়ক সম্পাদক সাগর পুরনো সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একাধিক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগপত্রে জিনারা গাজীর জমির রেজিস্ট্রিতে অনিয়ম করে অতিরিক্ত জায়গা দেখানো এবং রওশন মন্ডলের ৩.২৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে বসবাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের হুমকি-ধামকির কারণে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। গত সোমবার এফএমবি স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি সরকারি মালামাল বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ না করেন। জানা গেছে, অভিযুক্তরা আগামী ২৮ মে আবারও একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় ত্যাগী বিএনপি নেতারা সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা অভিযোগ মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।