ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করবে ১৭ ফেরি ও ২০টি লঞ্চ। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ জলযান চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মোস্তারি জাহান ফেরদৌস, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সেলিম শেখ, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক, বিআরটিএ রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডবব্লিউটিসি কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে কয়েকটি ফেরি বাড়িয়ে ১৭টি ফেরি, তিনটি ঘাটের মধ্যে (৩, ৪ ও ৭) আটটি পকেট যানবাহন পারাপার ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। যার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া ঘাট এলাকা যানজটমুক্ত এবং দালাল, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, যাত্রী হয়রানি রোধে থাকবে জেলা পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে, ভাড়ার নির্দিষ্ট চার্ট ও টিকিট কাউন্টারের তালিকা প্রদর্শন, অবৈধ যানবাহন চলাচল রোধে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম থাকবে। অন্যদিকে ঘাট এলাকায় আলোকসজ্জা, অস্থায়ী টয়লেট, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্রসহ থাকবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, যাত্রী হয়রানি, ছিনতাই, মলমপার্টি, দালাল, যানজট নিয়ন্ত্রণ রোধে ঘাট এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে ঘাট এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ যানবাহন চলাচলেও নজরদারি করা হবে এবং সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে পুলিশ। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি যাত্রী, সাধারণ জনগণকেও সচেতন থাকতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, আশা করছি এবার সবার সহযোগিতায় সুন্দর একটি ঈদ কাটবে। আগের মতো এখন ঘাটে যানবাহনের চাপ নেই। তারপরও ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়বে। সেদিক বিবেচনায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট, ছিনতাইকারী, দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।