নড়াইলে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের গোপালপুরে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ২ জনকে অভিযুক্ত করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেছেন ভদ্রবিলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেবি রানী রায়।মামলায় অভিযুক্তরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মোল্যার ছেলে গোলাম রব মোল্যা ও ভদ্রবিলা গ্রামের মোহর শেখের ছেলের লিটন শেখ।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ”সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মামলার এজহারে বাদি অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর ভদ্রবিলা ইউনিয়নের গোপালপুরে সরকারি জমি থেকে চুরি করে গাছ বিক্রি হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, দিঘলিয়া-সারকেলডাঙ্গা মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১০৬৮ ও ১০৭১ নম্বর দাগের কাঁচা রাস্তা শ্রেণির জায়গায় ৩ টি মেহেগনী ও ১ টি দেবদারু গাছ চুরি করে অপসারণ এবং বিক্রি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আরো লিখেছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন, গাছ ৪ টির মূল্য আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই গাছগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছিলেন দিঘলিয়া গ্রামের রব মোল্যা। এরই সুবাদে রব মোল্যার সঙ্গে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছগুলো নেওয়ার চুক্তি হয় লিটনের৷ একপর্যায়ে গত ২৮ ডিসেম্বর গাছগুলো কেটে নেন লিটন শেখ।
ভদ্রবিলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেবি রানী রায় বলেন, গাছগুলো সরকারি জমিতে ছিলো। গোলাম রব ও লিটন শেখ যোগসাজশে গাছগুলো চুরি করে কেটে বিক্রি করেছেন। গোলাম রব আমাদের কাছে লিটনের সঙ্গে চুক্তির কথা স্বীকার করেছেন। তবে লিটনের কাছ থেকে সে কোনো টাকা পায়নি বলে জানিয়েছেন। আমরা লিটনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর কোনো সাড়া পায়নি। পরে তাঁদের নামে থানায় মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম রব মোল্যাকে ফোন দিলে তিনি অসুস্থ দাবি করে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। আরেক অভিযুক্ত লিটন শেখ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি কোনো গাছ কাটিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।