খুলনাসারাদেশ

সাগরদাঁড়ী মধুপল্লীতে মধুমেলার ৭দিনে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার রাজস্ব আয়

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে অনুষ্ঠিত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মধুমেলার ৭ দিনে মধুপল্লীর টিকিট বিক্রি মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আয় করেছে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা।
যা গত বছরের চেয়ে গড় প্রতিদিন প্রায় ১০৩১২ টাকা বেশী রাজস্ব আয় করেছে। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মধুমেলায় আগত দর্শনর্থীদের কাছ থেকে ওই রাজস্ব আদায় করেছে মধুকুঞ্জ। আর এর জন্য মধুপল্লীতে কর্মরত অত্যান্ত কর্মট, সৎ ও নিষ্ঠাবান কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামানের বিচক্ষন নেতৃত্বে ২১ জন কর্মী বাহিনীকে ৭ দিন নির্ঘুম ও নিরলস পরিশ্রম করতে হয়েছে।
সুত্রে জানাগেছে, ২৪ জানুয়ারী মধুমেলার প্রথম দিনে রাজস্ব আয় হয় ৪৬ হাজার টাকা, ২য় দিন ২৫ জানুয়ারী ৬৩ হাজার ৩৮১ টাকা, ৩য় দিন ২৬ জানুয়ারী ৪৪ হাজার ৫৫৩ টাকা, ৪র্থ দিন ২৭ জানুয়ারী ৬৫ হাজার ৩১২ টাকা, ৫ম দিন ২৮ জানুয়ারী ১ লক্ষ ২ হাজার ৮২ টাকা, ৬ষ্ঠ দিন ২৯ জানুয়ারী ৭৭ হাজার ৬৯১ টাকা,৭ম দিন ৩০ জানুয়ারী ৬৭ হাজার ৫৩০ টাকা রাজস্ব আয় করে।
এছাড়াও সারা বছরই দেশ-বিদেশের মধুভক্ত পর্যটকদের থেকে নিয়মিত সরকারি রাজস্ব আয় হলেও দুরদুরন্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য নেই কোন রেস্ট-হাউজ, শিশু বিনোদনের জন্য নেই কোন শিশু কর্ণার, নিরাপদ বিচরনের জন্য নেই বর্ধিত (স্পেস) জায়গা এবং নেই মধুকবির স্মৃতি বিজড়িত স্থাপত্য গুলো স্থায়ী সংস্কারের কোন উদ্যোগ। মধুপল্লীর এসব সমস্যা দুরিকরন করতে পারলে বর্তমান রাজস্ব আয়ের দ্বিগুন ছাড়িয়ে যাবে এবং সারা বছরই দেশ-বিদেশের পর্যটকে মধুকুঞ্জ মুখরিত থাকবে।
তাই মধুপল্লী থেকে সরকারি রাজস্ব আয় বাড়াতে অতি দ্রুত এ সকল সঙ্কট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তার প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন ব্যক্তি ও সুধী জন।

এবিষয়ে মধুপল্লী কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা দর্শনার্থীদের নির্মল বিনোদনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। তবে আরো ভাল হতো যদি বাচ্ছাদের জন্য আলাদা একটি উদ্যান বা কর্ণার থাকতো।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের রিজিয়নাল ডাইরেক্টর (আরডি) লাভলী ইয়াসমীন বলেন, জায়গা স্বল্পতার কারণে শিশুদের জন্য আলাদা কোন কর্ণার করা সম্ভব নয়, তার পরেও আমি দেখবো বাচ্ছাদের জন্য একটি কর্ণার করা যায় কিনা। আগামী বছরে মধুপল্লীর ভিতরে একটি মেঘনাদবধ কর্ণার করা হবে, যেটা পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দেবে। প্রতিবছর স্থাপত্য সংস্কার করা হয় এ বছরও মেলার আগে আমরা কিছু কাজ করেছি। আর রেস্ট-হাউজ হলেও দর্শণার্থীদের কোন কাজে আসবে না, কারণ সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের থাকার সুযোগ নাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button