শীর্ষ বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিশ্বে পোশাক খাতের প্রধান বাজারগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে পৌছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) এবং কানাডার মতো প্রধান রপ্তানি দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারেও তুলনামূলকভাবে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ডেনমার্কে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সুইডেনে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অপ্রচলিত বাজারেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, যেখানে মোট রপ্তানি ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে সবচেয়ে বেশি ৮৩৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, এরপর অস্ট্রেলিয়ায় ৫৮২ মিলিয়ন এবং ভারতে ৪৭৮ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়া, তুরস্ক ও মেক্সিকোতে যথাক্রমে ৩০৫ মিলিয়ন ও ২২৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ভারতে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, মেক্সিকোতে ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং তুরস্কে ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানির হার কমেছে।
বিজিএমইএ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো প্রধানত ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। তবে অপ্রচলিত বাজারেও সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে কৌশলগত গবেষণা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব। তারা বলেন, এই বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা গেলে প্রধান বাজারগুলোর ওপর নির্ভরতা কমবে। এছাড়া বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বিশ্বব্যাপী ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে ২৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, যেখানে মোট রপ্তানি ১৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৫ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ৮৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার দখল করেছে।
যুক্তরাজ্যও গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে রয়েছে, যেখানে রপ্তানি ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা মোট রপ্তানির ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং কানাডায় ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম, ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার, যেখানে ৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া স্পেনে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন, ফ্রান্সে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন, ইতালিতে ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন, পোল্যান্ডে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন এবং নেদারল্যান্ডসে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
বিগত বছরের তুলনায় জার্মানিতে রপ্তানি ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ডেনমার্কে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সুইডেনে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অপ্রচলিত বাজারেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, যেখানে মোট রপ্তানি ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে সবচেয়ে বেশি ৮৩৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, এরপর অস্ট্রেলিয়ায় ৫৮২ মিলিয়ন এবং ভারতে ৪৭৮ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়া, তুরস্ক ও মেক্সিকোতে যথাক্রমে ৩০৫ মিলিয়ন ও ২২৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ভারতে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, মেক্সিকোতে ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং তুরস্কে ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানির হার কমেছে।
বিজিএমইএ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো প্রধানত ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। তবে অপ্রচলিত বাজারেও সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে কৌশলগত গবেষণা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব। তারা বলেন, এই বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা গেলে প্রধান বাজারগুলোর ওপর নির্ভরতা কমবে। এছাড়া বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।