আইন-অপরাধখুলনা

শার্শায় খুনের ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনার ৯ ঘন্টনার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারী সোহেল রানা (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ) সার্কেল নিশাত আল নাহিয়ান। এর আগে ভোর ৫ টার সময় উপজেলার জামতলা টেংরা হাইস্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহেল রানা বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত দক্ষিন বুজরুজবাগানগামী মাটির রাস্তার উপর থেকে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সবুজ (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যু হয়। অপর জন আহত রাজু (২২) কে হসপিটালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। বিষয়টি লোমহর্ষক ঘটনা হওয়ায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে এবং হত্যাকান্ডের ৯ ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকারী সোহেল রানাকে আটক করেন।

তিনি আরো জানান, নিহত সবুজ, রাজু ও তাদের সঙ্গী কালু ঘটনার দিন রাতে মাঠে কলাবাগান পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ১০ টার দিকে আসামী সোহেল রানা ও তার সহযোগী আল আমিন ওই পথ দিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নিহত সবুজ তাদের গায়ে টর্চলাইট মারে এবং দাঁড়াতে বলে পরিচয় জানতে চাই। তখন তারা জানায় তারা দক্ষিণ বরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে বাবুর লোক। বাবুকে ফোন কল দিতে গেলে সবুজ ফোন কেঁড়ে নেয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ঘাতক সোহেল রানা তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে প্রথমে রাজুকে আঘাত করে। পরে সবুজ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে হত্যাকারীকে আটক করতে পুলিশ মাঠে নামে এবং ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক সোহেল রানাকে আটক করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার(নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, আটক আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামী আল আমীনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button