খুলনা

রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে সমাজ চিন্তা করা যাবে কিন্তু বিবেক বুদ্ধি আঁটকে রাখা যাবে না

জন্মজয়ন্তীতে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে সমাজ চিন্তা করা যাবে কিন্তু বিবেক বুদ্ধি আঁটকে রাখা যাবে না। যদি ভাবা হয় রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভাল লেখা আর হতে পারে না। সাহিত্য চর্চায় রবীন্দ্রনাথ অনন্য সঠিক। কিন্তু লেখকের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তানাহলে নতুন নতুন লেখক সৃষ্টি হবে। নতুন শিল্প সাহিত্য তৈরি হবে না। এমনভাবে প্রচলন হয়ে গেছে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভাল লিখলে তিনি মূর্খ্য, তাকে অসাংস্কৃতিক বলা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ছাড়িয়ে যাওয়া যাবে না এটা করলে নতুনদের বাঁধা দেয়া হবে। নতুন প্রজন্ম সাহিত্য চর্চায় বিমুখ হয়ে পড়বে।

আজ শুক্রবার (৯ মে)যশোর প্রাচ্য সংঘের হলরুমে সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাচ্য সংঘের সভাপতি বিশিষ্ট কবি কাশেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও প্রাচ্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বেনজীন খান।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, রবীন্দ্রনাথ জমিদার ঘরের সন্তান হয়েও সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। তার পরিবার ছিল আধুনিকমনা পরিবার। বাবা ও পিতামহ ছিলেন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধের মানুষ। হিন্দু ধর্মের জাতপাতের তারা কথা বলেছেন। সেইজন্য কলকাতার বড় বড় বাবুরা তার বাবার বিয়ের জন্য পাত্রী দেয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়ে তার পিতামহ ছেলেকে খুলনার ফুলতলায় বিয়ে দেন। রবীন্দ্রনাথ নিজেও এ অঞ্চলে বিয়ে করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button