খুলনা

যশোরে ৪ ক্লিনিক ও হসপিটালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোর শহরের ঘোপ ণওয়াপাড়া রোড ও জেলরোডে ৪ টি ক্লিনিক ও হসপিটালে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার আইনে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

যশোর জেলা প্রশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আগে যৌথ উদ্যোগে এ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দায়ান আমিন ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসনা সিলভা ইরা এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

এ সময় পুলিশ উপস্থিত ভ্রাম্যমান অভিযানের সময় সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে অবস্থিত আরিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক ফারুক হোসেন তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যান। ওই প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজপত্র নেই।
দুপুর ২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চলা ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটস সংরক্ষণ, চিকিৎসক ছাড়াই ভূঁয়া রিপোর্ট তৈরি, ক্লিনিকের কাগজপত্র সঠিক না থাকা ও দালালের আধিপত্য নির্ভর সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হয় ভোক্তা অধিকার আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দায়ান আমিন শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডস্থ পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা, ডি এন এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা, সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা ও জনতা হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দায়ান আমিন বলেন, যশোর শহরের বিভিন্ন ডায়গনস্টিক এবং হসপিটালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা কালে নানা অসংগতি তিনি দেখতে পেয়েছেন। যা ভোক্তা কিংবা সাধারণ মানুষের এত ক্ষুন্ন হয়। এই অবস্থায় এ সব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের করার জন্য মিনিমাম জরিমানা করেছেন। এরপর সতর্ক না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দায়ান আমিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button