জাতীয়

জেলা শহরগুলোতে নতুন করদাতা চিহ্নিত করে করের আওতায় আনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

জেলা শহরগুলোতে করদাতা চিহ্নিত করে তাদের করের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গ্রামের চিকিৎসকদেরও করের আওতায় আনতে ডিসিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জোর করে করহার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারাই (ডিসি) বিষয়টি তুলেছে। তারা বলেছেন, জেলা শহরগুলোতে অনেকেরই কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে কিন্তু দিচ্ছে না, তাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি, সেখানে গুরুত্ব দিতে। শুধু ঢাকা নয়, বাইরের শহরগুলোতে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর সুযোগ আছে। তারা ইতিমধ্যে গ্রাম থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স আদায় করতে অভিযান চালিয়েছে।

এ ছাড়া রাজস্ব আদায় বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও আইনজীবীদের লেনদেন অনলাইনে করার তাগাদা দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেক ব্যবসায়ী অনলাইনে টাকা-পয়সা লেনদেন করে না। নগদ লেনদেন করায় সব কিন্তু করের আওতায় আসছে না।

ডাক্তার ও ব্যবসায়ীরা নগদ লেনদেন করায় তা করের আওতায় আসছে না মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, লেনেদেন কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হলে করের আওতায় আনা যাবে। এবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, লেনদেন যেন ডিজিটাল মাধ্যমে বাড়ে তা বলা হয়েছে। তাহলে রাজস্ব আদায় বাড়বে।

কর্মসংস্থান বাড়ানো ওপর গুরুত্ব দিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, এডিপি বাস্তবায়নে স্থানীয় কর্মসংস্থান যেন হয়, তাদের চাহিদা যেন মেটানো যায়, ডিসিদেরকে সেদিকে নজর দিতে বলেছি।

এ ছাড়া এসএমই পণ্য উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের উদ্যোক্তাদের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে জানিয়ে চীনের উদাহরণ দেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, চীনের একটি গ্রামের পণ্য বিশ্বের নামিদামি স্টলগুলোতে পাওয়া যায়। তারা গ্রামে বসেই সিঙ্গাপুরের মত বাজারে পণ্য রপ্তানি করছে। কারণ তাদের যোগাযোগ মাধ্যমটি আছে, আমাদের নেই। আমরাও সেই অনলাইন মাধ্যমের সুযোগটি করতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button