চৌগাছা পৌর পশুহাটের ইজারা সর্বোচ্চ দরদাতার কার্যাদেশ দাবি

বিডি ডিক্সঃ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের চৌগাছায় পশু হাট থেকে অবৈধভাবে খাজনা আদায় চলছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর পশু হাট চৌগাছা পৌরসভা নিয়ে নিয়েছে।
এরআগে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাট না দিয়ে নানা ফন্দিফিকির করে পশু হাট ঝিনাইদহের আবিদুর রহমান লালুকে ৩‘শ টাকার একটি স্টাম করে দিয়ে দেয় চৌগাছার পৌরসভার প্রশাসক।
এবার হাট না পেয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা মেসার্স শয়ন ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. আতিকুর রহমান (লেন্টু) সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে আবেদন করেছে যশোর জেলা প্রশাসকের নিকট।
জেলা প্রশাসকের আবেদন পত্রে তিনি উল্যেখ করেন, চৌগাছা পৌর পশুহাট ইজারা নিয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ, প্রকৃত সর্বোচ্চ দরদাতার আবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট বাংলা ১৪৩২ সালের চৌগাছা পৌরসভার পশুহাটের সর্বোচ্চ দরদাতা, তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
তার দাবি, হাইকোর্টের রিট পিটিশন (নং ২২৫৫/২০২৫) এর ভুল ব্যাখ্যা করে পৌর কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৫ মার্চ অন্য একজন ব্যক্তিকে হাটের কার্যাদেশ প্রদান করে। এই আদেশ বাতিলের দাবিতে আতিকুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সি.পি মামলা (নং ১০৭৮/২০২৫) দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে হাটের কার্যক্রমের ওপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন।
তিনি জানান, তিনি একজন বৈধ সারের ডিলার এবং চৌগাছা পৌরসভার সাধারণ হাটের ইজারাদার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তিনি জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাকে প্রকৃত সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে চৌগাছা পৌর পশুহাটের কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং টোল আদায়ের অনুমতি প্রদান করা হয়।
এছাড়া এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে ও গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের উপ পরিচালক মো. রফিকুল হাসানের কাছে আবেদন করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, যেন বিষয়টি তদন্ত করে আইনি নির্দেশনার আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
হাইকোটে রিট পিটিশনকারী ও ইজারাদার আবিদুর রহমান লালু ওই সময় বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ হাটটি আমাকে ইজারা দিয়েছে। আদালতের কাছ থেকে আদেশ নিয়ে আমি খাজনা আদায় করছি।
সর্বোচ্চ দর দিয়ে ইজারার জন্য আবেদনকারী আতিকুর রহমান লেন্টু বলেন, আমি সর্বোচ্চ দর দিতে চেয়েছি। গত বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি দিয়ে হাট ইজারা নেওয়ার আবেদন করেছি। তারপরও আমাকে হাটের ইজারা দেওয়া হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ যোগসাজস করে পশু হাটটি ঝিনাইদহের ব্যাপারী পাড়ার আবিদুর রহমান লালুকে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে এ বছর ১৪৩২ সালে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
চৌগাছার পৌরসভার প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. তাসমিন জাহান বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তের আগেই হাটটি আবিদুর রহমান লালুকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই সময়। হাট ইজারা কমিটি সিদ্ধন্ত নিয়ে তাকে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আবিদুর রহমান ডেপুটি এটানি জেনারেলকে দিয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে তাকে হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য। এখন আদালতে মামলা চলায় পৌর সভা খাস কালেকশন করছে।