নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের চৌগাছায় এক বিধবা নারীকে বাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার চান্দা গ্রামের বাসিন্দা হালিমা খাতুন জেবুন্নেসা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যশোর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন, তার দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম ও রমজান, এবং মেয়ে তাজিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা এবং চান্দা গ্রামে তার ক্রয়কৃত ৬ শতক জমির উপর নির্মিত দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকা বসতবাড়িতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আসামিরা তার বাড়িটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী তার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তার ওপর হামলা চালায়। অভিযোগে বলা হয়, রুহুল আমিন বাইসাইকেল দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং পরে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। সাইফুল ইসলাম তার তলপেটে ও বুকে আঘাত করে মারাত্মক জখম করেন। রমজান তার কান ও গালে আঘাত করেন। তাজিয়া চুল টেনে ছিঁড়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সাইফুল ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে তাকে জনসমক্ষে বিবস্ত্র করে শালীনতা নষ্ট করেন। এ সময় পতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
হামলার পর আহত হালিমা খাতুন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে তার চিকিৎসার ছাড়পত্রও।
ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন প্রতিকার প্রেসক্লাব যশোরে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ বিষয়ে তাদের লিখনির মাধ্যমে যেন বিষয়টা তুলে ধরা হয় তার আবেদন জানিয়েছেন।
