চৌগাছায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হাসপাতালে রেখে পালাতক স্বামী-শ্বাশুড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চৌগাছায় জেসমিন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী ও শ্বাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা। জেসমিন উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের মন্মথপুর গ্রামের সুলাইমান হোসেনের স্ত্রী।
আজ রবিবার (১জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এরআগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজের শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় নিহতের স্বামী সোলাইমান হোসেন ও তার মা’সহ স্বজনরা।
প্রতিবেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, জেসমিনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোববার দুপুর ৩টার দিকে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে স্বামী সুলাইমান মাঠের কাজ শেষে বাসায় আসলে ঘটনা শুনে মা’য়ের পক্ষ নিয়ে জেসমিনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারপিট করে। পরে সন্ধ্য সাড়ে ৬টার দিকে জেসমিনের শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকেন শ্বাশুড়ি ও স্বামী সুলাইমান। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। হাসপাতলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অদ্য সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেসমিনের ইসিজি করার সময় তিনি মারা গেছে বুঝতে পেরে স্বামী সুলাইমান এবং শাশুড়ি লাশ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যান।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জেসমিনের মৃতদেহ চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্ষিত ছিলো।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, তার লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে স্বামী ও শ্বাশুড়ি পালিয়ে গেছে। আমরা বিষযটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পরই বলা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।