আইন-অপরাধখুলনা

কেশবপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা কেশবপুর থানায় মামলা

আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু, স্টাফ রিপোর্টারঃ কেশবপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সোহরাব মোড়ল (৫৫) কর্তৃক এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

গত সোমবার (১৯ মে) সকালে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেলকাঠি গ্রামে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সোহরাব মোড়লের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছেন।

কেশবপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার বেলকাটি গ্রামের মৃত রহমতউল্লাহ মোড়লের ছেলে সোহরাব মোড়ল (৫৫) ঐ ছাত্রীর প্রতিবেশী। প্রতিবেশী হওয়ায় সুবাদে সে মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। ঐ ছাত্রীর পিতা একজন ভাংড়ীর ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৯ মে সকালে সে বাড়ি থেকে বাহিরে যায় এবং তার মা মেয়েকে বাড়িতে রেখে প্রতিবেশী বিল্লালের বাড়িতে যায়। ওইসময় সোহরাব মোড়ল তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে ডাকা-ডাকি করতে থাকলে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হয়ে বলেন দাদা ও বাবা-মা কেউ বাড়িতে নেই। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সোহরাব মোড়ল তার যৌনকামনা চরিতার্থ করার জন্য জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর হাত ধরে ঘরের ভিতর নিয়ে যায় এবং তার স্পর্শকাতর বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘরের খাটের উপর শুয়াইয়ে জামা কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওইসময় মেয়েটির ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সে মেয়েটিকে ছেড়ে ঘর থেকে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নারী লোভী ও দুশ্চরিত্রহীন সোহরাব মোড়লের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-১৪।

ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি খুবই জঘন্য ও দুঃখজনক। ঘটনার পর থেকে লম্পট সোহরাব এলাকা ছেড়ে আত্ম গোপনে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Back to top button