
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাইকারী বাজারে সবজির মূল্যে কমলেও সাধারণ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে পাইকারী মুলের থেকে প্রায় তিনগুন বেশী দামে।
বাজার থেকে পাইকাররা সস্তায় কিনে অতি মুনাফা লাভে আশায় বেশি দামে বিক্রি করায় ক্ষতিগ্রস’ হচ্ছে চাষী ও ক্রেতা উভয়। সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং ব্যবস’া না থাকায় একদিকে উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকের। অন্য দিকে সাধারণ মানুষকে কিনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশী দামে।
সরেজমিনে কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, সবজির দামে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়মুল্য আকাশ কুসুম ব্যবধান।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সবজি গন্তব্যে নিতে ব্যাটারি চালিত ভ্যান, নসিমন, করিমন ও আলম সাধু নিয়ে এসেছেন এ বাজারে। এখানে বাধা কপি প্রতি পিচ ৪ থেকে ৫ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি, শিম ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা কেজি, কাচ কলা ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা কেজি, টমেটো ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজি, ওলকপি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজি দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে।
অপর দিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাধা কপি প্রতি পিচ ১০ থেকে ১৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি, সিম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজি, কাচ কলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজি, টমেটো ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি, ওলকপি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে আসা উপজেলার মজিদপুর গ্রামের কৃষক মতলেব জানান, ফুলকপি ২ থেকে ৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ভ্যান ভাড়া এবং জমি থেকে ফুলকপি উঠানোর খরচ উঠছে না। তারপরও খাজনা দিতে হচ্ছে কেজিতে ১ টাকা।
কেশবপুর বাজারের সবজির আড়ৎ মেসার্স ভাই ভাই বাণিজ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান বলেন, কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজারে সব মিলে প্রতিদিন ৬শ মণ সবজি বিক্রিয় হয়। কেশবপুর খুচরা কাচা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের এক হাজারেরও অধিক খুচরা বিক্রেতারা এ কাচা বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছর বন্যার কারনে প্রথমে সবজির প্রচুর দাম ছিল। এ জন্য বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর এ এলাকায় সবজির ব্যাপক চাষ হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম কিছুটা কম।