আগামী মাসে পাকিস্তানে বসবে আইসিসির আরেকটি টুর্নামেন্ট!

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পাকিস্তানে ২৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসি ইভেন্ট। চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যদিও টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়িয়েছে হাইব্রিড মডেলে, তবুও আয়োজক তো পাকিস্তান। এর আগে ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানে কোনো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা হয়নি।
ইতিমধ্যে পাকিস্তানে টুর্নামেন্টটির খেলা শেষ, ভারত ফাইনালে উঠায় শিরোপা নির্ধারণীর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে। তবে এখনই ব্যস্ততা শেষ হচ্ছে না পিসিবির। সামনের মাসেই সেখানে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসির আরেকটি টুর্নামেন্ট। যেখানে চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে বসবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যেখানে অংশ নিবে ৮ দল, যার মধ্যে স্বাগতিক ভারতসহ ইতিমধ্যে ৬ দল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে দুই দলের স্থান। সেটি দখল করতেই আগামী মাসে পাকিস্তানে লড়বে ছয় দল। জানা গেছে, নারী বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের খেলা মাঠে গড়াবে ৪ এপ্রিল থেকে।
যদিও চূড়ান্ত তারিখ এবং ভেন্যু এখনো সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে লাহোরই এই টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক শহর হবে। এই বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী ছয়টি দল হলো-বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তান। এখান থেকে দুটি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে পিসিবি পাকিস্তানি রুপিতে প্রায় ১২ হাজার কোটি খরচ করে দেশের তিনটি ক্রিকেট ভেন্যু সংস্কার করেছে। বিদেশি দলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুধু লাহোরেই ১০ হাজার পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে সমর্থকদের পাকিস্তানে প্রবেশের পথটিও সহজ করেছিল। তবে ভারতের আপত্তির কারণে পুরো টুর্নামেন্টটি তারা আয়োজন করতে পারেনি।
হাইব্রিড মডেলে সহযোগী হিসেবে সঙ্গে নিতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। সেখানেই রোহিত-বিরাটরা খেলছেন তাদের ম্যাচ। ঐ অনুসারে যদি পাকিস্তান আসন্ন নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তাহলে তাদের জন্যও ভারতকে একই ভাবে ভাবতে হবে। এর আগে ২০১৩ সালে ভারত যখন নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল, তখন পাকিস্তান দল মুম্বাইতে না খেলে ওড়িশার কটকে ম্যাচ খেলতে বাধ্য হয়েছিল।